পটুয়াখালীর বাউফলে কেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় নৌকার কর্মী-সমর্থকদের হামলায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তিন রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার (২১ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাইস্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নৌকা মার্কার পক্ষে কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করতে গেলে চশমা মার্কার এজেন্টসহ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক তাতে বাধা দেন। এতে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন লাভলুর ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাশমোন দাশ (৪০) ও আতাউর রাব্বিকে (৩০) বাউফল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার কারণে কিছু সময় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল।
চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন লাভলু অভিযোগ করেন, ঘটনার পর ওই কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় জানতে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী সালে উদ্দিন পিকুর মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রিয়াজুল সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রে উপস্থিত ইউপি সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জানান, আগের একটি জোড়া খুনের জের ধরে তার সঙ্গে থাকা লোকদের ওপর নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহ উদ্দিন পিকুর লোকজন চড়াও হয়। তারা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রাব্বি ও রাশমনোর হাত, পা ও মাথায় জখম করে। গত বছর আগস্ট মাসে কেশবপুর বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন নৌকা মার্কার প্রার্থীর আপন ভাই ও চাচাতো ভাই। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু ছাড়াও ইউপি সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলামও রয়েছেন।
Leave a Reply