খুলনার পাইকগাছায় হঠাৎ করে করোনা রোগী শনাক্তের হার মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিনদিনে ১ জনের মৃত্যুসহ ৩০ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনার বড়ই অভাব সর্বত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতসহ মাস্ক ব্যবহার যারা করছেন না, তাদেরকে বাধ্যতামুলকভাবে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৬ জনের র্যাপিড এ্যন্টিজেন টেষ্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে এবং একজন মৃত্যু বরন করেছেন।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, জুন মাস থেকে পাইকগাছা উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্তের হার মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসন ১০ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত পাইকগাছা পৌরসভায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। এরপর আবার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি খুলনা জেলায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করে। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ নিলেও থামছে না করোনা শনাক্তের হার। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দোকান-পাট, ব্যবসা বাণিজ্যকেন্দ্রসহ সকল প্রতিষ্ঠানই খোলা থাকছে আগের মত। নেই সামাজিক দুরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই। লোকজনের মুখে নেই মাস্ক, যাত্রীবাহী সকল যানে ভীড় দেখা যাচ্ছে সব সময়। প্রশাসনের লোকজন দেখলে দোকান-পাট হচ্ছে বন্ধ, যাত্রীবাহী সকল যানে সেই সময়ই লোকজন থাকছে কম। অযাথাভীড় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ চায়ের দোকানগুলিতে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে সকল প্রতিষ্ঠান চলছে আগেরইমত। দেখলে মনে হবেনা চলছে বিধি নিষেধ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা মুখপাত্র ডাঃ ইফতেখার বিন রাজ্জাক জানান, গত মঙ্গলবার ৩৪ জনের মধ্যে ১২ জন, বুধবার ১৭ জনের মধ্যে ৯ জন এবং বৃহস্পতিবার ২৫ জনের মধ্যে ৯ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে। এরমধ্যে বুধবার সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটী গ্রামের ইয়াছিন হায়দার (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার নমুনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজেটিভ হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান, বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে ৪ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে প্রতিদিন আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে যাদের মাস্ক নাই তাদেরকে আমরা করোনা টেস্ট করাতে বাধ্য করছি। এখানেও অনেকের মধ্যে পজেটিভ সনাক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ করোনা সংক্রমন এতটাই বেড়েছে যে পরীক্ষা করলেই পজেটিভ সনাক্ত হচ্ছে। বর্তমানে আমরা কঠিন ঝুঁকির মধ্যে অবস্থান করছি। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার কোন বিকল্প নেই। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। আমরা যে যেখানেই অবস্থান করি না কেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে যাওয়ার আগেই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানান ইউএনও খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
… [Trackback]
[…] Read More Info here on that Topic: doinikdak.com/news/26556 […]
… [Trackback]
[…] There you will find 75966 more Info to that Topic: doinikdak.com/news/26556 […]
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/26556 […]
… [Trackback]
[…] There you will find 9903 additional Information to that Topic: doinikdak.com/news/26556 […]
… [Trackback]
[…] Read More Information here to that Topic: doinikdak.com/news/26556 […]