ইসলামের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইসলামের নামে অগ্নিসংযোগ হামলা ও ভাঙচুরের মতো অনৈসলামিক কার্যক্রমকে সহ্য করবে না। অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমি কেবল এটুকুই বলতে পারি এই ধরনের অপকর্মের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোকের জন্য ইসলাম ধর্মের বদনাম হবে এটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরণের অপকর্মে যারা জড়িত আইনানুগ ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে। যারা মুখে ধর্মের কথা বলে, ইসলামের নাম বলে চলবেন আর অপকর্ম করবেন এটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণ দেন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সার্কভূক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী সৃষ্ট অরাজকতা এবং হরতাল আহ্বান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এর নেতৃবৃন্দকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ অনেক মানুষের জীবন গেছে। এর জন্য দায়ী তো তারা। কাজেই, আমি শুধু এইটুক বলব, দেশবাসী যেন একটু ধৈর্য ধরেন। আমার কাছে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরেই এগোতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দুঃখজনক বিষয় হলো, যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। সেই সময় যে ঘটনাগুলি ঘটানো হলো এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সব থেকে আশ্চযের বিষয় যেখানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি সেই সময় হ্যাঁ আমাদের অনেক বিদেশী অতিথি আসছে। অনেকে বার্তা দিচ্ছেন। ব্রিটেনের রানী থেকে শুরু করে সৌদি বাদশা সকলের বার্তা আমরা পাচ্ছি। এতো বড় একটা সম্মান বাংলাদেশ পাচ্ছে। সেখানে কারা খুশি হতে পারে নাই?
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসার কথা। তাকে আসতে দেওয়া যাবে না, বাধা দেওয়া হলো কেন? হেফাজতে ইসলাম কর্মসূচি দেয়। তারা কি শিক্ষা গ্রহণ করতে দেওবন্দে যায় না। তারা যদি এসমস্ত ঘটনা ঘটায়, তবে, উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দেওবন্দে যাবে কিভাবে? সেটা কি তারা একবারও চিন্তা করেছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো কওমি মাদরাসায় সনদ দিচ্ছি। তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি তাদের কারিকুলাম ঠিক করে দিচ্ছি। যাতে তারা দেশে বিদেশে চাকরির পায় তার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছি তারপরেও কেন তারা এই তান্ডব ঘটালো?
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে। বিএনপি জামায়াত জোট কীভাবে সমর্থন দিচ্ছে সেটাই আমার প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী মোদি আসবে সেখানে তাদের আপত্তি।
হেফাজত কাণ্ড নিয়ে সবিস্তারে সংসদে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কেউ কেউ বলছেন পুলিশ কেন ধৈর্য দেখিয়েছে? আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি এগুলো বিরত করার চেষ্টা করেছি। কারণ, সংঘাতে সংঘাত বাড়ে, আমরা তা চাইনি। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ভালোভাবে উদযাপন করতে চেয়েছি।
তিনি বলেন, যারা এটা করছে, দেশবাসী এটার বিচার করবে। দেশবাসী দেখবে এবং এদের চরিত্রটা কি? গতকালকে দেখেছেন এরা একদিকে ইসলামের নামে, ধর্মের নামে, পবিত্রতার নামে এতো কিছু বলে আবার গিয়ে একটা অপবিত্র কাজ করে আসে, ধরা পড়ে সোনারগাঁও’র রিসোর্টে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব এবং হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুহম্মদ মামুনুল হকের অনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার মিডিয়াতে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, একটা রিসোর্টে ধরা পড়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব। তিনি ধরা পড়লেন এবং সেটা ঢাকার জন্য নানা রকম চেষ্টা। পার্লারে কাজ করে এক মহিলা তাকে বৌ হিসাবে পরিচয় দেন, আবার নিজের বৌ এর কাছে বলে যে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলে ফেলেছি।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে এরকম অসত্য কথা বলতে পারে? তারা তো বলতে পারে না। এরা কি ধর্ম পালন করে? মানুষকে কি ধর্ম শেখাবে?
শেখ হাসিনা বলেন, হেফাজতের যারা সদস্য তাদেরকেও অনুরোধ করব-একটু বুঝে নিন কেমন নেতৃত্ব আপনাদের। আগুন লাগিয়ে জ্বালাও পোড়ায় করে বিনোদন করতে গেলেন একটা রিসোর্টে তাও একজন সুন্দরী মহিলা নিয়ে। এটাই তো বাস্তবতা। অর্থাৎ এরা ইসলাম ধর্মের নামে কলঙ্ক। ইসলাম ধর্মকে তারা ছোট করে দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ এবং এক সপ্তাহের লক ডাউন প্রসঙ্গেও বিস্তরিত সংসদে তুলে ধরেন।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাস নামের যে মহামারী দেখা দিয়েছিল তার দ্বিতীয় ঢেউ এখন চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। জানি, কষ্ট হবে, তারপরেও সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি সংসদে আসার আগেই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে, নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশনা দিয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি সংসদে বলেন, হয়তো মানুষের একটু সমস্যা হবে তারপরেও আমি বলবো জীবনটা অনেক বড়, জীবনটা আগে। মানুষের জীবন বাঁচানো এটাই সকলের করণীয়। তাই, এই ভাইরাসের সংক্রমণটা যাতে না বাড়ে এবং এই দ্বিতীয় সংক্রমণে যেটা হচ্ছে সেটা সমগ্র বিশ্বব্যাপী আরো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই, দেশের মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। নিউজ সোর্সঃ মুখে ধর্ম কথা বলবেন আর অপকর্ম করবেন, এটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়: প্রধানমন্ত্রী
cheap lasuna sale – order lasuna without prescription himcolin pills
besivance oral – sildamax pills purchase sildamax sale
gabapentin tablets – purchase sulfasalazine online azulfidine ca
order benemid 500mg for sale – carbamazepine uk purchase carbamazepine online cheap
order celebrex without prescription – purchase indomethacin pill how to buy indocin
colospa oral – generic arcoxia order pletal 100 mg generic
buy voltaren without prescription – order aspirin without prescription purchase aspirin pill
rumalaya tablet – buy rumalaya online order endep 50mg generic
pyridostigmine 60mg pills – pyridostigmine 60 mg usa order azathioprine 25mg generic
purchase ozobax online – lioresal pills feldene 20mg pills
purchase voveran without prescription – isosorbide 20mg ca purchase nimodipine online cheap
cyproheptadine 4 mg cheap – order periactin 4 mg online oral tizanidine
buy meloxicam 15mg – order toradol pill purchase toradol pill
omnicef oral – order cleocin online
trihexyphenidyl online – how to order diclofenac gel order voltaren gel cheap
order accutane 40mg pills – buy dapsone 100 mg generic deltasone drug
deltasone 20mg cheap – order deltasone 20mg generic order zovirax
buy permethrin medication – order permethrin cream retin cream tablet