বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবীতে কুপিয়ে দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবীতে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুবলীগ ও অংঙ্গ সংঠনের উদ্যোগে প্রতিদিন আমতলী পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত রেখেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার সকাল ৯ টায় আমতলী পুরানবাজারের সাকিবপ্লাজা থেকে শুরু করে আমতলী পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আমতলী চৌ রাস্তা মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ সকল অংঙ্গসহযোগী সংগঠনের প্রায় কয়েকশত নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল আহসান নান্নু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃধা, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান,আঠারগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ, শ্রকিমলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা, পৌর কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল তালুকদার, রিয়াজ উদ্দিন মৃধা, হাবিবুর রহমান মীর, সামসুল হক চৌকিদার, যুবলীগ সহ-সভাপতি মোঃ মাহবুব মিয়া, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সবুজ প্রমুখ।
বক্তারা যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার সাথে পৌর কাউন্সিল জিএম মুছাসহ সকল আসামীকে গ্রেফতার করা না হলে আমতলীতে দুর্বার আন্দোলনের হুমকি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবী করেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা। আজাদ এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে এতে ক্ষিপ্ত হয় জিএম মুছা ও তার লোকজন। গত ২১ মে রাতে কৌশলে আজাদকে ডেকে নিয়ে সদর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের একটি সড়কে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে দুই হাত ও দুই পা কুচিকুচি করে হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। সে সময় মৃত্যু ভেবে রাস্তায় ফেলে আজাদের সাথে থাকা দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গতকাল (শনিবার) ভিকটিম আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আমতলী পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জিএম মুসা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান, ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিন খানসহ ১৫ জন এজাহার নামিয় ও ১০/ ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে আমতলী থানায় চাঁদার দাবীতে তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ।