বিশ্বজুড়ে আরও বেড়েছে করোনার প্রকোপ। এতে একদিনে সাড়ে ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৮ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। নতুন করে করোনার শিকার হয়েছেন ৬ লাখের বেশি মানুষ। তবে বরাবরের মতো এদিনও পিছিয়ে সুস্থতার হার।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৫ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬৩২ জন। নতুন করে ১০ হাজার ৪৪৩ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৫ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্ত শনাক্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থতা লাভ করেছেন ১০ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ব্রাজিলে ১ হাজার ৯৩১ জন, আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে একদিনে আক্রান্ত প্রায় ৯৩ হাজার।
পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারির ২১ তারিখে বিশ্বজুড়ে একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৫ জন, তারপর বেড়ে ২৭ মার্চ ১৭ হাজারের বেশি হয়। তবে মার্চ মাস নাগাদ মৃত্যু হার কিছুটা কমে ২২ মার্চ ৭ হাজার ২৬৩ হলেও এপ্রিলে করোনার মৃত্যুর মিছিল আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
অন্যদিকে গত ৯ মাস যাবত করোনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ১২৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫১৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু ৮০৭ জন,আক্রান্ত ৬৬ হাজারের বেশি।
সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে একদিনে মৃত্যু ৫১৪ জন, আক্রান্ত ৯২ হাজার ৯৯৮ জন।
এছাড়া হঠাৎ মৃত্যু এবং আক্রান্ত বাড়তে শুরু করেছে পোল্যান্ডে। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু ৫৭১,আক্রান্ত ২৮ হাজার ৭৩জন।
একইপথে ইউরোপের আরেক দেশ ইটালি। দ্বিতীয় দফায় ক্রমেই করোনা ভয়াবহ রূপ নেয়ায় সেখানে লকডাউন জারি হয়েছে। ইটালিতে একদিনে মৃত্যু ৩৭৬ জন, রাশিয়ায় ৩৮৪, স্পেনে ১৫৭, ফ্রান্সে ২১৩,জার্মানিতে মৃত্যু কমে ৮১জন।
তবে বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ হলেও দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারি গতি কমেছে যুক্তরাজ্যে।দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১০ জন, আক্রান্ত ৩ হাজার।
চীনে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নিউজ সোর্সঃ বিশ্বে একদিনে আরও সাড়ে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
Leave a Reply