আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে জোরদার আন্দোলনের জন্য সময়ের অপেক্ষা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “অনেকে বলেন, বিএনপি ডাক দিচ্ছে না কেন? বিএনপি তখনই ডাক দেবে, যখন বিএনপি মনে করবে যে ডাক দেওয়ার সময় হয়েছে।”
নিকট অতীতে আন্দোলনের ব্যর্থ হওয়ার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “ডাক দিয়েছে তো অতীতেও। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে আমরা প্রায় ৬ মাস অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তুলিনি? একেবারে গ্রামে-গঞ্জে হাট বাজার পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়নি?
“২০১৫ সালে ম্যাডাম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ হলেন, আমরা সবাই কারাগারে চলে গেছি। তখন গোটা বাংলাদেশে অবরোধ ছিল না? তারপরও কিন্তু হয়নি।”
বিশ্বের নানা দেশের উদাহরণ টেনে ফখরুল বলেন, “আজকে বার্মাতে (মিয়ানমার) ১২শ ছাত্র-ছাত্রীকে গুলি করে মেরে ফেলল। সরাতে পেরেছে জান্তাকে? পারেনি। মিসরে আন্দোলন করে ইসলামী ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসির সরকার গঠিত হল, একটা বছরও টিকতে পারেনি। পরিবর্তনগুলো আপনাদের বুঝতে হবে।”
খালেদা জিয়াকে ‘আন্দোলনের প্রাণশক্তি’ অভিহিত করে বিএনপি মহআসচিব বলেন, “তিনি হচ্ছেন সেই ব্যাবিলনের বংশীবাদক, যার বাঁশি না বাজলে মানুষ বের হয়ে আসে না।”
“তাকে মুক্ত করতে হবে এবং ৮ হাজার মাইল দূরে থেকে যিনি আমাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ধেকে সরানোর আশা প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, “এই কাজটি আমাদেরকে করতে হবে। অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না।
“আমেরিকানরা করে দিয়ে যাবে না, চীন করে দিয়ে যাবে না, ভারত করে দিয়ে যাবে না। বাংলাদেশের মানুষকে এটা করতে হবে এবং এর নেতৃত্ব অবশ্যই বিএনপিকে দিতে হবে।”
রাজপথে তরুণদের আরও সাহসী ভূমিকা প্রত্যাশা করে ফখরুল বলেন, “আমাদের অনেক বয়স, আমার বয়স ৭২ পার হয়ে গেছে। তারপরেও তো আমি রাস্তায় এসে দাঁড়াই। যেদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাজকে (ছাত্রদল নেতা) আমার বুক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, সেদিন কজন আপনারা ঘুরে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বলেন তো?”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডা্কসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমানকে দেখিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা যখন যুবক ছিলেন, নব্বইয়ে এরশাদকে আপনারা হটিয়ে দিয়েছিলেন।
“আজকেও এই যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে সংগঠিত হতে হবে, তাদেরকে তৈরি করতে হবে। সেই কাজ শুরু করুন, তাহলে দেখবেন সেই কাজটা (আন্দোলন) সহজ হয়ে যাবে।”
তিনি একইসঙ্গে বলেন, “একটা কথা আমাদের বোঝা উচিত যে, নব্বইয়ের পৃথিবী আর আজকে দুই হাজার একুশের পৃথিবী কিন্তু এক নয়। সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। পরিবর্তনের ধারাকে নিয়ে আমাদের এগুতে হবে। তা না হলে আমরা কখনও সাকসেসফুল হতে পারব না।
… [Trackback]
[…] Find More to that Topic: doinikdak.com/news/23287 […]
… [Trackback]
[…] Find More here on that Topic: doinikdak.com/news/23287 […]