ঢাকা, রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
হাজার টাকা কেজির ‘সূর্যডিম আম, দেশেও উৎপাদন শুরু
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে  বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের চাষ , নাম মিয়াজাকি বা ‘সূর্যডিম’ আম। পুষ্টিসমৃদ্ধ আমের এই জাতের  ।জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলের এ আম প্রথমবারের মতো চাষ করে সফল হয়েছেন খাগড়াছড়ির হ্লাশিমং চৌধুরী। জেলার মহালছড়ি উপজেলার ধুমনিঘাট এলাকায় ৬০ শতক বাগানে মিয়াজাকি প্রজাতির ১২০টি চারা লাগিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফলন তুলেছেন সফল এ আম চাষি। প্রতিকেজি এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করে এবার ১০ লাখ টাকার সূর্যডিম আম বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জাপানের বিশেষ এই আম দেশটির সরকার ব্রিটিশ রানী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের উপহার দেয়। গণমাধ্যমের সূত্র মতে, বিশ্ববাজারে একটি মিয়াজাকির দাম প্রায় ৭০ ডলার বা ছয় হাজার টাকা। একটি আমের গড় ওজন প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম। অর্থাৎ প্রতি ১০ গ্রাম আমের দাম এক ডলারের মতো।

ধুমনিঘাট এলাকার পাহাড়ি ঢালুর গাছে ঝুলছে লাল লাল আম। পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু কিছু গাছে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাকিং পদ্ধতি। মুকুল আসা থেকে ফলন তোলা পর্যন্ত আমের যত্ন নেওয়ায় কোনও কমতি ছিল না হ্লাশিমংয়ের। তাই অন্যান্য বাগানির চেয়ে তার ফলের চাহিদা ও গুণগতমান অনেক ভালো।

পার্বত্য চট্টগ্রামে মিয়াজাকি আমের প্রথম চাষও হয় তার হাত ধরে। জানা যায়, জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলে প্রথম চাষাবাদ হয় এ আমের। তাই ওই অঞ্চলের নামানুসারে এর নাম হয় মিয়াজাকি ম্যাংগো। বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে এটিকে সূর্য ডিম বা লাল আমও বলা হয়।বিশ্বের অন্যান্য আমের চেয়ে এ আমের বাজারমূল্য যেমন বেশি, তেমনি পুষ্টিগুণও অনেক।

হ্লাশিমং চৌধুরী বলেন, ভারতের পুনে থেকে ২০১৭ সালে মিয়াজাকি আমের মাতৃচারা সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর তার বাগানে কলম চারার মাধ্যমে ১২০টি চারা করেন। ২০১৯ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে লাগানো মিয়াজাকি বাগানে ফলন আসতে থাকে। ২০২০ সালেও ভালো ফলন হয়। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ মৌসুমে ফলন কম হলেও দাম পেয়ে খুশি তিনি। প্রতি কেজি আম বিক্রি করছেন এক হাজার টাকায়। এবার কম হলেও এক টনের মতো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। যা থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.