ঢাকার অদুরে সাভারের আশুলিয়ায় পরিবহনে চাঁদাবাজিকালে পুলিশ বাধা প্রদান করায় পুলিশ সদস্যকে ঘিরে ধরে পরিবহন চাঁদাবাজরা এবং পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সাভারের আশুলিয়ার কাইচাবাড়ির কালারটেক এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. মামুন (৪০), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার দরিহাতি গ্রামের শমশের মিয়ার ছেলে রাজ্জাক মিয়া (৩৮) ও সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার কান্দাপাড়া গ্রামের নুরুল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৯)।
এ ছাড়া পলাতক আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার বাইপাইল পূর্বপাড়া (মন্ডলপাড়া) এলাকার মৃত মীর আলী মন্ডলের ছেলে বাদশা মন্ডল (৪২), বাইপাইলের স্বপনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেহেদী (৪০), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার জলছত্র গ্রামের হৃদয় (৩৫), আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার সেলিম (৩৫), জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার সুজন (৩২) ও আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৫)। তারা সবাই বাদশা মন্ডলের অধীনে পরিবহনে চাঁদাবাজি করে আসছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়া থানা সংলগ্ন বাইপাইল এলাকার ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে কিছু চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করছিল। এ কারণে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এ খবর পেয়ে একই এলাকায় যানজট নিরসনে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও আসাদুর রহমান ঘটনাস্থলে যান এবং চাঁদাবাজদের বাধা প্রদান করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।
এ সময় ২০ থেকে ৩০ জন চাঁদাবাজ চারদিকে ঘিরে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পরে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে থানায় খবর দিলে আরো পুলিশ অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এলে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়। আটকের সময় আসামি আ. রাজ্জাক দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মাটিতে পড়ে মুখে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। অপর দুজনের কাছ থেকে চাঁদাবাজির ৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ জানান, এই চাঁদাবাজ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাস, ট্রাক ও পিকআপ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
… [Trackback]
[…] Read More on on that Topic: doinikdak.com/news/22267 […]