কি চমকে উঠলেন হে এবার যুক্তরাষ্ট্রকেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেলারুশ , তাদের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক লোকদের সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বেলারুশ। সেই সাথে বেলারুশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির সকল কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার এই বিষয় জানায় বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় সাংবাদিক ও আন্দোলনকর্মী রোমান প্রোতাসেভিচের আটকের পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জেরে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
গত ২৫ মে থেকে রোমান প্রোতাসেভিচকে আটকের ঘটনায় বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনাকে জঘন্য বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সাথে সাংবাদিক রোমানকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল বেলারুশ।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ রেখেছে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ। সম্প্রতি ব্রাসেলসে এক বৈঠকে ইইউর ২৭টি সদস্য দেশের নেতারা ইইউর এয়ারলাইন্সগুলোকে বেলারুশের আকাশ বর্জনের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে বেলরুশের ওপর অন্যান্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে ইইউ। কেউ কেউ এ ঘটনাকে রাষ্ট্রীর সন্ত্রাস বলেছেন। আর পশ্চিমা দেশগুলো বেলারুশের বিরুদ্ধে রায়ান এয়ারের বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগে এনেছে।
গত ২৪ মে বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে আটক করা হয় বেলারুশ সরকারের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক ও আন্দোলনকর্মী রোমান প্রোতাসেভিচকে। ফ্লাইটটি গ্রিস থেকে লিথুয়ানিয়া যাচ্ছিল। বোমা থাকার অভিযোগে ফ্লাইটটিকে দ্রুত বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ঘুরিয়ে নেয়া হয়। যদিও পরে সেখানে কোনো ধরনের বোমা বা বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ওই ফ্লাইটে রোমানের সঙ্গে তার প্রেমিকা সোফিয়া সাপেগাও ছিল। তাকেও বেলারুশে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলারুশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির করা হয় আটক সাংবাদিক রোমান প্রোতাসেভিচকে। সেখানে তিনি দাবি করেন নিজের ইচ্ছাতেই সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়েছেন তিনি। স্বীকার করেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর পতন ঘটানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।