ক্যালেন্ডারের পাতায় এরকম একটা দিন থাকতে পারে সেটা ভাবতে পারেননি নিশ্চয়! ওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল ডে বা বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস ২০১৮ সালের আগে কখনওই পালিত হয়নি। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা ৩ জুন তারিখটিকে বিশ্ব সাইকেল দিবস হিসাবে উদযাপন করতে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবে সাইকেলের দীর্ঘ জীবনকাল এবং বহু কাজে ব্যবহৃত হওয়ার প্রশংসা করা হয়েছিল। সঙ্গে প্রায় দুই শতক কাল এর সাধারণ, কম খরচ, বিশ্বাসযোগ্যতা, এবং পরিবেশের জন্য উপযুক্ত যান-বাহনের মাধ্যম হিসাবে সাইকেলের উল্লেখ করা হয়েছিল। দু’চাকার এই পরিবেশ বান্ধব যানের বিবিধ উপকারিতার কথা ভেবে
সাইকেল ব্যবহারের সুফলের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য মূলত এই দিবস উদযাপন করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর অধ্যাপক লেসজেক সিবিলস্কি তার সমাজশাস্ত্রের শ্রেণীতে তৃণ-মূল পর্যায়ে বিশ্ব সাইকেল দিবসের রাষ্ট্রসংঘর স্বীকৃতির জন্য এক অভিযানের সূচনা করেছিলেন। পরে তার এই অভিযান তুর্কমেনিস্তানকে নিয়ে ৫৬ টি দেশের সমর্থন লাভ করে। এর রাষ্ট্রসংঘ সরকারী বড় ও নীল রঙের লোগোটি আইজাক ফেলডে নির্মাণ করেছিলেন এবং অধ্যাপক জন ই. শানসন এর সঙ্গে থাকা এনিমেশন প্রস্তুত করেছিলেন। এই লোগোতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের সাইকেল আরোহী দেখানো হয়েছে। সাইকেল মানবতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়; এই হল এর মূল উদ্দেশ্য।
সারা বিশ্বেই প্রচুর মানুষ সাইকেল চালান। কিন্তু অধিকাংশই সাইকেলের জন্য এই বিশেষ দিনের কথা জানেন না। বাংলাদেশেও বিশ্ব সাইকেল দিবস পালন করা হয়। যদিও এদেশে সাইকেলকে বরাবরই নিম্নশ্রেণির যান হিসেবেই দেখা হয়। কিন্তু চিনের মতো অতি দূষণ রোধে সরকারি উদ্যোগেই বাইসাইকেলের প্রচার করা হয়। বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, ও মার্কিন মুলুকে সাইকেল অত্যন্ত জনপ্রিয়। এমনকী অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও সাইকেল চালান।
পরিবেশ দূষণ রোধে বাইসাইকেলের গুরুত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে থাকেন বিজ্ঞানী ও পরিবেশকর্মীরাও।