সরকারের অনুমতি ছাড়া এখন থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে যাওয়া যাবে না। বুধবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এখন থেকে ভাসানচর এলাকায় কাউকে যেতে হলে, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। সাংবাদিকরা যেতে চাইলে তাদেরও অনুমতি নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু গত ২ দিন যাবৎ সেখানে তারা (রোহিঙ্গা) একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তারা দাবি করছে, ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার জন্য। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা দেওয়ার জন্য। কিন্তু পৃথিবীর কোনও দেশে কোনও শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীদের নাগরিক সুবিধা দেওয়া হয় না। শরণার্থীদের শুধু আশ্রয় দেওয়া হয়। তাদের দাবি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, মেনে নেওয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকেই মাদক ব্যবসাসহ নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এসব বিষয়ে কঠোর নজরদারির জন্য ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটা তারের বেড়ার কাজ চলছে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে আশা করি, এসব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। যদি কাউকে পাওয়া যায় তাকে ধরে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আমরা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়েছি। এরা যৌথভাবে বিষয়টি দেখবেন।
… [Trackback]
[…] There you will find 19669 more Information to that Topic: doinikdak.com/news/21573 […]
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/21573 […]
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/21573 […]