ঢাকা, রবিবার ০৪ জুন ২০২৩, ০৮:০১ অপরাহ্ন
আরও ৬ বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে যৌন নির্যাতনের ভিডিওর খোঁজ
অনলাইন ডেস্ক

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে নিপীড়নের ভিডিও ভাইরালের ঘটনার রেশ না কাটতে না কাটতেই খোঁজ মিলেছে আরও ছয় তরুণীর ভিডিওর। ধারণা করা হচ্ছে, তারাও ভারতের বেঙ্গালুরুতে কোনো গোপন আস্তানায় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

প্রথম ভিডিওতে নির্যাতনের শিকার তরুণী ঢাকার মগবাজারের বাসিন্দা। নতুন দুটি ভিডিওতে যেসব তরুণীকে দেখা গেছে, তারাও বাংলাদেশি নাগরিক বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

প্রথম ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক বাবুসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’জন পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। যৌন নিপীড়নের শিকার ওই তরুণীকেও কেরালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

এদিকে, এ ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা বাদী হয়ে টিকটক হৃদয়সহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি ও মানব পাচার আইনে মামলা করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ এ চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডিসি আ ফ ম আল কিবরিয়া বলেন, কারা কীভাবে প্রথম এসব ভিডিও ভাইরাল করেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।

এর আগে গত ২১ মে ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। এই নির্যাতনের জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের পুলিশ। গ্রেপ্তার সবাই একই গ্রুপের এবং সবাই বাংলাদেশি বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনাটি প্রচার হওয়ার পর নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। তরুণীকে পাচার করে নিয়ে যাওয়ার মূলহোতা টিকটক হৃদয় বাবুর পরিচয়ও নিশ্চিত হওয়ায় এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে খবর প্রচার হয়।

ভারতে অবস্থানকারী কয়েকজন জানান, বেঙ্গালুরুর ভিডিও ভাইরাল ও নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত আলামিন, টিকটক হৃদয় বাবুসহ অন্যরা সবাই বেঙ্গালুরুতে কোর্টলোর এলাকায় রাফি নামে একজনের ছত্রছায়ায় থাকে। রাফির বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকায়। তার প্রকৃত নাম আশরাফুল মণ্ডল। রাফিকে সবাই ‘বস’ বলে সম্বোধন করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x