ঢাকা, সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
হিন্দু গ্রামে একমাত্র মুসলিম পরিবারের ছেলে হাফেজ আজিম গ্রাম প্রধান নির্বাচিত
Reporter Name

ভারতের অযোধ্যার বাসিন্দা  হাফেজ আজিমুদ্দিন খান।  তিনি একজন  কুরআনে হাফেজ ও আলেম।তিনি ভারতের অযোধ্যায়  পঞ্চায়েত  নির্বাচনে আরো ৭ জ়ন হিন্দু পার্থীর সাথে পার্থী হন, যে গ্রামে তিনি পার্থী হন সেই গ্রামের একমাত্র মুসলিম পরিবার এই আলেম হাফেজ আজিমের পরিবার,কিন্তু হাফেজ আজিম হিন্দুদের ভোটে গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে অযোধ্যা জেলার রুদৌলি বিধানসভা কেন্দ্রের মাভাই ব্লকের রাজানপুর গ্রামের হিন্দু বাসিন্দারা।হিন্দুস্থান টাইমস।

এই অযোধ্যায় মুসলিমদের হাজার বছরের  ঐতিহ্য স্থাপনা ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, আজ সে খানেই একটি গ্রামের সব হিন্দুরা একমাত্র মুসলিম পরিবারের প্রধান হাফেজ আজিমকে পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোজানায়, অযোধ্যা জেলার একটি গ্রাম রাজানপুর। গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা তাদের পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে একজন হাফেজে কুরআনকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেছেন।

ওই গ্রামে একটি মাত্র মুসলিম পরিবার এই আলেম হাফেজ আজিমের পরিবার।এই গ্রাম থেকে পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার ভোটে ৭ জন হিন্দুসহ মোট ৮জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  হাফেজ আজিম ছাড়া বাকি ৭ জনই ছিলেন হিন্দু।

কিন্তু ভোট গণনার পর দেখা যায়, সর্বাধিক ২০০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন হাফেজ আজিম।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১১৬ ভোট। ৮৪ ভোট বেশি পেয়ে তিনি পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।

হিন্দুস্থান টাইমস আরও জানায়, এ নির্বাচনের হিন্দু প্রার্থীরা চমৎকার ও লোভনীয় অনেক সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও জিততে পারেনি। হিন্দুপ্রার্থীরা গ্রামবাসীদের পেনশন এবং প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম যোজনার আওতায় প্রত্যেকে একটি করে বাড়ি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও গ্রামবাসীরা হাফেজ আজিমকেই প্রধান হিসেবে বেছে নেন।

হাফেজ আজিম পেশায় একজন কৃষক। শিক্ষা জীবনে তিনি মাদ্রাসায় আলিম এবং হাফেজ ডিগ্রী অর্জন করেন। প্রায় ১০ বছর পড়াশোনা শেষে পারিবারিক কৃষি পেশায় যোগ দেন তিনি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আলোচনায় আসা হাফেজ আজিম গণমাধ্যমকে জানান, গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এ বিজয় আমার ঈদ উপহার।

গ্রামবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এ গ্রামের প্রায় সবাই হিন্দু। তারা আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন বলে আমি তাদের ওপর কৃতজ্ঞ।

গ্রাম বাসিরা বলেন আমরা কট্টর হিন্দু। কিন্তু আমরা আমাদের গ্রাম প্রধান হিসেবে একজন আলেমকে বেছে নিয়েছি। কারণ আমাদের দেশে হাজার বছর ধরে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত চলে আসছে; সেটিকেই আমরা পাথেয় মনে করেছি এবং প্রাধান্য দিয়েছি।

 

x