কোম্পানীগঞ্জ(নোয়াখালী)প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ১১ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মে) রাতে বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার সহযোগী ও বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ দুলালের ছেলে মোঃ হামিদ উল্যাহ হামিদ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৪।
মামলায় জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, জেলা পরিষদ সদস্য আক্রাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা ও আওয়ামীলীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাসিব আহসান আলাল, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়েদল হক কচি, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন অন্যতম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ফেইসবুক লাইভে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর সামনে ঘোষণা করেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অনুসারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই মারধরসহ প্রতিরোধ করা হবে। এতে বাদীর নেতা কাদের মির্জার মান ক্ষুণ্ন ও তার অনুসারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
রোববার (১৬ই মে) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।