ঢাকা, বুধবার ২১ মে ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
রোগীর ভালো দাঁত তুলে ফেলার অভিযোগে দন্ত চিকিৎসক আটক
Reporter Name

 আশীষ দাশ গুপ্ত হবিগঞ্জ লাখাই প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার  রোগীকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় এক পল্লী দন্তচিকিৎসকের বিরুদ্ধে খারাপ দাতের  চিকিৎসা করতে গিয়ে মনিরুল ইসলাম নামে এক রোগীর ভালো দাঁত তুলে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে।

অভিযুক্ত দন্ত চিকিৎসক একই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র সাব্বির হোসেন লাখাই উপজেলার বামৈ বড় বাজারে ‘মা ডেন্টাল’ নামে একটি দন্ত চিকিৎসালয় পরিচালনা করেন। অপচিকিৎসার শিকার বামৈ পূর্বগ্রামের অধিবাসী মনিরুল ইসলাম নামের ওই রোগী ১৬ই মে(রবিবার) বিকালে এ ব্যাপারে লাখাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পরপরই দন্ত চিকিৎসক সাব্বির হোসেন কে আটক করে লাখাই থানা পুলিশ। থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম নামের ওই রোগীর দাঁতের সমস্যা হলে গত ১৬ এপ্রিল তিনি মা ডেন্টালের দন্তচিকিৎসক সাব্বির হোসেনের কাছে যান। ওই চিকিৎসক তাঁকে নতুন একটি দাঁত লাগিয়ে দেন।

পরে গত পাচ ছয় দিন যাবত দাঁতটি নাড়াচরা করলে তিনি শনিবার (১৫মে) সন্ধ্যায় চিকিৎসক সাব্বিরকে এ বিষয়ে জানান। সমস্যাটি সমাধান করতে গিয়ে রোগীর আক্রান্ত স্থান অবশ না করেই ক্যাপ খোলার দীর্ঘ চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় রোগী তীব্র ব্যথা হচ্ছে বলে জানালে চিকিৎসক সাব্বির ওই রোগীর তিনটি দাঁতের গোড়ায় মোট তিনটি ব্যথানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এরপর  ওই রোগীর অসুস্থ দাঁতটি সহ  সুস্থ  আরো দুটি দাঁত তুলে আনেন ওই চিকিৎসক। এর পরপরই অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক তার দোকান বন্ধ করে সটকে পরেন।

এ বিষয়ে কথা হলে দন্তচিকিৎসক সাব্বির হোসেন জানান, অসাবধানতাবশত এরকমটি হয়ে থাকলেও তিনি ওই রোগের তিনটি দাতে পুনরায় ক্যাপ পরিয়ে লাগিয়ে দেবেন বলেছেন। কিন্তু ওই রোগী রাজি হননি। এ সময় তিনি ওই রোগীর কাছে ১৫ শত টাকা পাওনা আছে বলেও জানান। এ ব্যাপারে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম জানান অভিযুক্ত চিকিৎসক আটক করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধান না হলে নিয়মিত মামলা নিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

x