রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কাটা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
সেই জায়গায় ইট-বালু-সিমেন্ট দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে রেস্টুরেন্ট, হাঁটার পথ, টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কাটার জন্য লাল ক্রস দিয়ে চিহ্ণিত করে রাখা হয়েছে আরও বেশ কিছু গাছ। তবে উন্নয়নের নামে নির্বিচারে এসব গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবিদ, নগরবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
শুক্রবার (৭ মে) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে সেভ ফিউচার বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
এই সময় তাদের সঙ্গে যুক্ত হন নগরবিদ ইকবাল হাবিব, পরিবেশ নদী-প্রকৃতি সংরক্ষক সংগঠন নোঙর বাংলাদেশের সভাপতি সুমন সামস, গ্রিন মি-এর প্রতিষ্ঠাতা রাশেদ শিমুলসহ বিভিন্ন পরিবেশবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
মানববন্ধনে সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উন্নয়নের নামে বৃক্ষ নিধন করে পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে। এখনো অর্ধশত গাছে চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলো কাটা হবে। তবে আর একটি গাছও আমরা কাটতে দেব না।
এ সময় সংগঠনটি গাছকাটা বন্ধসহ পরিবেশ রক্ষায় চারটি দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো-
১. অবিলম্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে এবং বাকি উদ্যানগুলোতেও গাছ কেটে কোনো উন্নয়ন করা যাবে না।
২. ইতোমধ্যে যেসব বৃক্ষ নিধন হয়েছে সেগুলোর ক্ষতি পোষাতে দশ হাজার নতুন বৃক্ষ রোপণ।
৩. গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট, হাঁটার রাস্তা এবং গাড়ির পার্কিং করার কাজ বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে যতটুকু কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো ভেঙে সেখানে নতুন গাছ লাগাতে হবে।
৪. উদ্যানের গাছ ও প্রকৃতি রক্ষা করতে হবে।
এসব দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলন করা কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
নোঙর বাংলাদেশের সভাপতি সুমন সামস বলেন, “সরকারের ভেতরে এত সচেতন মানুষ থাকা সত্বেও কেন লকডাউনের ভেতরে রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে নিতে হচ্ছে, এটি আমাদের মাথায় আসেছে না। আবার অনেক গাছ কাটার জন্য ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে। অকারণে অযথা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে জিলাপির মতো গাছ যেখানে আছে প্রকল্পের নকশাটাও যেন সেই দিকে যাচ্ছে।”
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের (৩য় পর্যায়) জন্য ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পের নকশা করেছে স্থাপত্য অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। আর এটি বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)
এই প্রকল্পে রয়েছে ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিং (৫০০টি), জলাধার, হাঁটার পথ, আন্ডারপাস, মসজিদ, অত্যাধুনিক রাইডসহ শিশুপার্কের আধুনিকায়ন, খাবারের দোকান এবং আনুষঙ্গিক নির্মাণ। এসব নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে চলামান আছে। আর এসব কাঠামো নির্মাণের জায়গায় যেসব গাছ পড়ছে সেগুলোই কাটা পড়ছে।
… [Trackback]
[…] Info on that Topic: doinikdak.com/news/13745 […]
… [Trackback]
[…] There you will find 77736 more Info to that Topic: doinikdak.com/news/13745 […]
… [Trackback]
[…] Find More on on that Topic: doinikdak.com/news/13745 […]
… [Trackback]
[…] There you will find 32707 additional Information on that Topic: doinikdak.com/news/13745 […]
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/13745 […]
… [Trackback]
[…] Find More on that Topic: doinikdak.com/news/13745 […]