ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
ক্যাপসিকাম চাষে সফল-এক যুবকের নাম, রাহুল রায়
Reporter Name

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ দেশের বড় বড় অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন মার্কেটে এর চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া ক্যাপসিকাম বিদেশে রপ্তানীর সম্ভাবনাও প্রচুর। কারণ সারা বিশ্বে টমেটোর পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মিষ্টি মরিচ ক্যাপসিকাম চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাহুল রায়। ঠাকুরগাঁও জেলায় অচেনা এ ফসল দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ জন ভিড় করছে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম ফকদনপুর গ্রামে রহুলের ক্যাপসিকাম বাগানে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই সময়টিকে অবহেলায় না কাটিয়ে দেড় বিঘা জমিতে গ্রিন হাউস বানিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) আবাদ করেন। এমবিএর শিক্ষার্থী রাহুল রায় জানান, এতে প্রায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়। শিক্ষার্থী রাহুল রায় জানান, প্রথম দিকে একটু ভয় পেয়েছিলেন এই ভেবে লোকসান হবে না তো।

পরে ফলন আসার পর সে ভয় কেটে গেছে তার। ইতিমধ্যে ক্যাপসিকাম বিক্রিও শুরু করেছেন তিনি। প্রতি কেজি দেড়শ থেকে ২শ টাকা দরে। আশা করছেন তিন থেকে চার মেট্রিক টন ক্যাপসিকাম পাবেন তার এ বাগান থেকে। তিনি আরো জানান, ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মিষ্টি মরিচের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। মিষ্টি মরিচ আমাদের দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও ইদানিং এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে। এই শিক্ষার্থী জানান, দেশের বড় বড় অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন মার্কেটে এর চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ক্যাপসিকাম বিদেশে রপ্তানীর সম্ভাবনাও প্রচুর। কারণ সারা বিশ্বে টমেটোর পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ।

এলাকাবাসীরা জানায়, পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষি কাজ করে যে লাভবান হওয়া যায় তা দেখিয়ে দিয়েছে রাহুল। সে এলাকার গর্ব। তার এ বিদেশি মরিচের আবাদ এলাকার বেকার যুবকদের অনুপ্রাণিত করবে। এদিকে উচ্চমূল্যের এ ফসলটির আর্থিক সম্ভাবনার কথা জানিয়ে চাষিদের ক্রমাগত উৎসাহ দিয়ে চলেছে জেলার কৃষি বিভাগ। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রথম বারের মতো দেড় বিঘা জমিতে বিদেশি ফসল ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও অনেকে বিভিন্ন বাসা বাড়ির ছাদে ও আঙিনায় সৌখিনভাবে এ ফসল আবাদ করছে। আমরা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে চলেছি।’ এটি বাণিজ্যিকভাবে কৃষকেরা আবাদ করলে ভালো লাভবান হবেন বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x