ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা এ বছর অনুষ্ঠিত হবেই
Reporter Name

গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও করোনাভাইরাসের কারণে এইচএসসি পরীক্ষায় নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় দেওয়া হয় অটোপাস। এ বছরও করোনার কারণে সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময় থেকে আরও দু-তিন মাস পিছিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

বুধবার (৫ মে) এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি ও সেপ্টেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কিন্তু সেটি হয়তো আরও দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা যায় না। কারণ তাদের পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।’

চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি এনসিটিবিতে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসএসসির জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার নির্দেশ দেন।

ওই বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ৯ মে এসএসসির এবং ১৫ জুন এইচএসসির সব ক্লাস শেষ করে জুনে এসএসসি ও জুলাই বা আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে যতটুকু পড়ানো যাবে ততটুকু সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হবে। এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে পরীক্ষা প্রশ্ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্পন্ন হয়নি।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (মাউশি) সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।

শিক্ষা সচিব বলেন, দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। আমাদের আগের ঘোষণা অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত ছিল তা এখনো বহাল রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

এর আগে গত ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে দিশেহারা বিশ্ববাসী। বাংলাদেশেও প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। এ ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x