ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩, ০৬:১৭ অপরাহ্ন
রমজান মাসে আরেকটি শাপলা চত্বর চেয়েছিল হেফাজতে ইসলাম
Reporter Name

রমজান সামনে রেখে দেশজুড়ে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল হেফাজতে ইসলাম। মোদিবিরোধী আন্দোলনের নামে সহিংসতা রমজান পর্যন্ত টেনে এনে আরেকটি ‘শাপলা চত্বর’ চেয়েছিল তারা। সরকার পতনের মিশন নিয়ে এমনই পরিকল্পনা করেছিল তারা।

বিলুপ্ত হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমনই তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম। মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

তিনি জানান, তারা সরকার পতনের এই আন্দোলনের নাম দিয়েছে আরেকটি ‘বদরের যুদ্ধ’ হিসাবে। রমজান মাসেই বদরের যুদ্ধ হয়েছিল। দেশ-বিদেশ থেকে মাদ্রাসার জন্য আসা অনুদানের টাকা সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতায় ব্যয় করা হয়েছিল। আর এটা নিয়ন্ত্রণ করত মূলত মামুনুল-হাবীবী।

মাদ্রাসার অনুদানের অর্থ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খরচের তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি মোহাম্মদপুরে মামুনুল হকের মাদ্রাসায় এক বছরে ১০-১২ কোটি টাকার আয় হয়েছে, কিন্তু কোথায় কোথায় ব্যয় হয়েছে তার কোনো হিসাব তাদের কাছে নেই। সারা দেশের বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসায় যা আয় হতো, তার বেশির ভাগই রাজনীতির কাজে ব্যবহার করত হেফাজত নেতারা।

হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন, কিন্তু এর নেতারা কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। হেফাজতের কার্যক্রমের আড়ালে তারা তাদের রাজনৈতিক দলের কাজ করে আসছিল। তিনি বলেন, তাবলিগ জামাতকে দুই ভাগ করার নেপথ্যেও তাদের হাত ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডে থাকা নেতারা পুলিশকে জানিয়েছে।

২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে তাণ্ডব চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় এ পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি হেফাজত নেতাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x