হীমেল মিত্র অপু, স্টাফ রিপোর্টার: আফান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল’র নৈরাজ্য বন্ধে শিক্ষামন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা।
করোনা মহামারিতে’ও থেমে নেই প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির দৌরাত্ম!
রংপুরের আদী শহর মাহিগঞ্জ, এই শহরের পুরনো বিদ্যাপীঠ হিসেবে অত্র অঞ্চলের সকলের কাছেই সুপরিচিত আফান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়। সাম্প্রতিক সময় করোনা মহামারীর এই বিভীষিকাময় অবস্থায়, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জোর করে ৩ মাসের বেতনসহ, বোর্ড নির্ধারিত ৯০টাকার স্থানে সর্বনিম্ন ২৫০টাকা অর্থাৎ নির্ধারিত ফি’র চাইতেও দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা নিয়ে ৮ম শ্রেনির রেজিষ্ট্রেশন চালিয়ে যাচ্ছেন। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন।
এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেক অসহায় হতদরিদ্র দিনমজুর অভিভাবক জানান আওয়ামী লীগ সরকারতো শিক্ষাবান্ধব সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার গরীবের সরকার। কিন্তূ ২০২০ইং এবং ২০২১ইং এই দুই বছর করোনা মহামারীতে, অনেক স্বচ্ছল পরিবারও অচল হয়ে পড়েছে। কিন্তূ এই দুর্যোগ-পুর্ণ মুহুর্তেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণের এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পুর্বে, অবশ্যই গরীব অসহায় কর্মক্ষম যারা আছে তাদের কথা ভাবা উচিৎ ছিলো।
আফান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অভিযোগ করেন, আমরা অনেক অনুরোধ করেও প্রধান শিক্ষকের কাছে ১০টাকা কমে রেজিষ্ট্রেশন করাতে পারিনি। নামপরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, আমি হেড স্যারের কাছে আমার ছেলের রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য কিছু টাকা কম করার অনুরোধ করায়, তিনি আমাকে বলেন সন্তান পড়াতে গেলে টাকা লাগবেই। কম নেয়ার কোন সুযোগ নেই স্কুল চালাতে অনেক খরচ আছে, সে তুমি বুঝবে না। পরে আমি তার নির্ধারণকৃত ফি পরিশোধ করে ছেলের রেজিষ্ট্রেশন করে চলে আসি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, গত বছরেও এই প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল ৮ম- ৯মশ্রনির রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে, একই ঘটনা ঘটিয়েছেন, অনেক কথাবার্তা শোনা গেলেও বাস্তবে কোন বিচার হয়নি প্রতারক ওই প্রধান শিক্ষকের। মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ড.দিপু মনি’র স্পষ্ট ঘোষণা ছিলো যে, টিউশন ফি বিদ্যালয়গুলো নিতে পারবে, শুধু মাত্র নন এমপিও ভুক্ত ও খন্ডকালীন শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি মানবিক কারণে দেয়ার জন্য। কিন্তু ১৪ মাস থেকে অত্র বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক কর্মচারীরা নিরব দুর্ভিক্ষের মাঝে অমানবিক ভাবে জীবন যাপন করছে। অথচ কোন ধরণের ক্লাস বা কাজ না করেও প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য MPO ভুক্ত কর্মচারীগণ আয়েশি জীবন-যাপন করছেন এবং সরকারি সব সুযোগ সুবিধা,বেতন ভাতা,বোনাসসহ সকল সুবিধাই ভোগ করেছেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন’র শিক্ষা-কার্যক্রম চালানোর নামে এহেন নৈরাজ্য বন্ধের দাবীতে, শিক্ষা মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক রংপুর সহ অত্র জেলা শিক্ষা অফিসারের সমদৃষ্টি ও জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ও শিক্ষকের একাংশ।
… [Trackback]
[…] Here you will find 14954 additional Info to that Topic: doinikdak.com/news/12220 […]
… [Trackback]
[…] Find More Info here on that Topic: doinikdak.com/news/12220 […]
… [Trackback]
[…] Information on that Topic: doinikdak.com/news/12220 […]
… [Trackback]
[…] Read More Information here to that Topic: doinikdak.com/news/12220 […]
… [Trackback]
[…] Find More here to that Topic: doinikdak.com/news/12220 […]
… [Trackback]
[…] Here you will find 82110 additional Information to that Topic: doinikdak.com/news/12220 […]
… [Trackback]
[…] Find More here to that Topic: doinikdak.com/news/12220 […]
… [Trackback]
[…] Find More here to that Topic: doinikdak.com/news/12220 […]