চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (২০২১ সালের জানুয়ারি-মার্চ) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বাংলাদেশ এক্সপার্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো)-এর মুনাফায় বড় উন্নতি হয়েছ।
এর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মুনাফা বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে করোনার ভ্যাকসিন। সরকারকে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করে প্রতিটি ভ্যাকসিন থেকে প্রতিষ্ঠানটি আয় করেছে প্রায় ৭৭ টাকা।
এর সঙ্গে মুনাফায় বড় উত্থান হয়েছে গ্রুপটির আরেক কোম্পানি বেক্সিমকোর। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ২০ গুণ। তবে বেক্সিমকোর এই মুনাফা কিসের ওপর ভিত্তি করে বেড়েছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
কোম্পানি দুটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিএসই জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ এই তিন মাসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সরকারকে ৫০ লাখ করোনার টিকা সরবরাহ করেছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
এ হিসেবে প্রতিটি টিকায় তাদের আয় হয়েছে ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা। এর ওপর ভিত্তি করেই চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২ পয়সা।
চলমান হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফায় বড় উন্নতি হওয়ায় নয় মাসের (২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বড় অংকে বেড়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ এই নয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮ টাকা ২৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৮৪ পয়সা।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৭৩ পয়সা, যা ২০২০ সালের মার্চ শেষে ছিল ৭৭ টাকা ৮৮ পয়সা।
অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৯ টাকা ৮৩ পয়সা।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বেক্সিমকোর শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১২ পয়সা। এ হিসেবে গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ২০ গুণ।
চলমান হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফায় বড় উন্নতি হওয়ায় নয় মাসের (২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বড় অংকে বেড়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ এই নয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৬ পয়সা।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৬৬ পয়সা, যা ২০২০ সালের মার্চ শেষে ছিল ৬৯ টাকা ৪৬ পয়সা।
অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ২২ টাকা ৩৮ পয়সা।
Stunning story there. What occurred after? Good luck!
… [Trackback]
[…] There you will find 85357 more Information to that Topic: doinikdak.com/news/12061 […]