ঢাকা, শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ হাওরাঞ্চলে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বসানোর দাবি
Reporter Name

আশীষ দাশ গুপ্ত হবিগঞ্জ  লাখাই  প্রতিনিধি: দেশের হাওর এলাকা হিসাবে পরিচিত হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার  হাওরাঞ্চলে  প্রতিবছর বজ্রপাতে প্রাণ হারান অনেক মানুষ।কৃষি ও মৎস্য আহরণ এখানকার মানুষের আয়ের প্রধান উৎস। তবে হাওরেই প্রতিবছর বজ্রপাতে প্রাণ দিতে হয় অনেককে। উপজেলার ১নং ইউনিয়নের  স্বজনগ্রাম হাওর সন্তোষপুর হাওর, কৃষ্ণপুর হাওর, জরিপপুর হাওর, শিবপুর হাওর, রুহিতনসী হাওর, কামালপুর হাওর, বুল্লা ইউনিয়নের ভবানীপুর হাওর, ভরপুর্নী হাওর মাদনা হাওর কাটাহিয়া হাওর,পশ্চিমবুল্লা হাওর,বামৈ ইউনিয়নের নয়াগাঁও হাওর পশ্চিমবামৈ হাওর, মুড়াকুরি জিরুন্ড হাওর, বড়ছর হাওর গুলিতে  প্রতি বছর এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সরকারের পক্ষ থেকে বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হলেও কারও কারও ভাগ্যে সেই টাকাও জোটে না। বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দেয়া হয় না কোনো ঋণ। পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেকেই পথে বসার উপক্রম।

মে থেকে জুলাই পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলার  হাওরাঞ্চল  এলাকায় সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত আঘাত হানে। লাখাই উপজেলার  মে থেকে জুলাই এ পাঁচ মাসে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৫টিরও বেশি বজ্রপাত আঘাত হানে। ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে দেশের পূর্বাঞ্চলে বজ্রপাতের পরিমাণ

এদিকে বজ্রপাত প্রাণহানি কমাতে হাওরে তালগাছ না লাগিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বজ্র নিরোধক যন্ত্র বসানো, বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারকে মোটা অংকের অনুদান প্রদান এবং হাওরের কৃষক ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদার করার দাবি জানান হাওর উন্নয়নে সংশ্লিষ্টরা।

লাখাই উপজেলার হাওরাঞ্চল বাসীর দাবি প্রতিটি হাওরে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বজ্র নিরোধক যন্ত্র বসানো । সেখানে যারা কাজে যাবেন তারা আশ্রয় নিতে পারেন এমন আশ্রয়কেন্দ্রও তৈরি করার জন্য প্রশাসনে প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

One response to “হবিগঞ্জ হাওরাঞ্চলে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বসানোর দাবি”

  1. … [Trackback]

    […] Here you can find 97208 additional Info on that Topic: doinikdak.com/news/11764 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x