লোকগানের সঙ্গে নাচ করা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেই তিন চিকিৎসককে অভিবাদন জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ডা. শ্বাশত চন্দন, ডা. আনিকা ইবনাত শামা এবং ডা. কৃপা বিশ্বাসকে উত্তরীয় পরিয়ে অভিবাদন জানানো হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা তাদের ডেকে নিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এ ছাড়াও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন তাদের অভিবাদন জানান। তিন চিকিৎসকের মধ্যে ডা. শ্বাশত চন্দন ও ডা. আনিকা ইবনাত শামা ইন্টার্ন করছেন। আরেক চিকিৎসক ডা. কৃপা বিশ্বাস ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অনারারি মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞার সঙ্গে ডা. চন্দন, ডা. আনিকা ও ডা. কৃপা বিশ্বাস গত ২৬ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের করিডোরে এই তিন চিকিৎসক একটি লোকগানের সঙ্গে নেচে ভিডিও করেন। পরে সেটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন করেন ডা. শ্বাশত চন্দন। মুহূর্তেই সে ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞার সঙ্গে ডা. চন্দন, ডা. আনিকা ও ডা. কৃপা বিশ্বাস
ডা. চন্দন ২৭ এপ্রিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনার এই মহামারিতে গত প্রায় দেড়টা বছর ধরেই চিকিৎসকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন। অনেক সিনিয়র চিকিৎসক মারা গেছেন, অনেক চিকিৎসকের পরিবারের সদস্য মারা গেছেন। হাজার হাজার চিকিৎসক করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু তাদের কোনও অ্যাপ্রিসিয়েশন নেই সেভাবে। কাজ করতে করতে চিকিৎসকরা এখন ক্লান্ত। অনেকেই মানসিক ট্রমার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মানসিক স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে ফেলে। চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি চিকিৎসকরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। এসব কিছু ভেবেই এটা করা। এই ভিডিও দেখে কোনও চিকিৎসক যদি একটুও প্রফুল্ল হতে পারেন সেটাই আমাদের সার্থকতা।’
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ছেলে-মেয়েরা যদি ভালো কাজ করে তাহলে পিতার দায়িত্ব তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়া, সাহস দেওয়া। আমি সেই কাজটি করেছি। আমি একজন সিনিয়র চিকিৎসক হিসেবে সেই কাজটা করেছি, কারণ আমার ভালো লেগেছে।’ ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন