করোনাভাইরাসের টিকা পেতে ৬টি দেশ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে চীনের উদ্যোগে নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’তে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ। এসময় করোনা টিকা, অক্সিজেনসহ চিকিৎসা সহায়তার জন্য সংরক্ষণাগার যে কোন সমুদ্রবন্দরের পাশে তৈরির প্রস্তাব রাখে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে করোনার টিকা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ৬ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।তিনি বলেন, যখন কোনো দেশের টিকা প্রয়োজন হবে তখন তারা এই সুবিধা থেকে সাহায্য নিবেন। তাছাড়া তারা তিনটি সুবিধা দেবে। একটি হচ্ছে- পোস্ট কোভিড প্রোভারট্রি অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, করোনার কারণে দেশে দেশে যে দারিদ্র বাড়ছে তারা সেটা জানতে চায়। আর দারিদ্র যেন না বাড়ে সে বিষয়ে কাজ করতে চায়।
তৃতীয়ত, করোনার কারণে সরাসরি বিক্রয় করতে না পারার কারণে তারা ই-কমার্স চালু করতে চায়।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে এক দেশ আরেক দেশকে সাহায্য ও সহযোগিতা করবে এটার ওপর এই ৬টি দেশ জোর দিয়েছে। বাংলাদেশের মঙ্গলের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কোনো দেশের কাছে নাকে খত দিয়ে বসে নেই বাংলাদেশ। করোনা ঠেকাতে রাশিয়া, আমেরিকা, চীন-যে কোন দেশ থেকেই টিকা আনা হবে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন হাতে আসবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
শুরু থেকেই করোনা ভ্যাকসিনের জন্য বাংলাদেশ নির্ভরশীল ছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতের উপর। গত নভেম্বরে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে এই টিকা সরবরাহ শুরু করে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ আসার কথা ছিল।
ভারত সরকারের ২০ লাখ ডোজ উপহারসহ এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। কিন্তু, ভারতে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় বন্ধ হয়ে যায় সেই টিকা আসা। অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে বাংলাদেশের করোনা টিকা প্রয়োগ। টিকা পেতে অন্যদেশগুলোর সঙ্গে শুরু হয় দেনদরবার।