ঢাকা,রবিবার ০৪ জুলাই ২০২১, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
পালাতক সেই ১০ করোনারোগীকে ধরে ফের হাসপাতালে ভর্তি
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

পালিয়ে যাওয়া রোগীদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধরে আনে যশোর পুলিশ।তাদের আবারও যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তির করা হয়েছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, দশজন করোনা রোগী কর্তৃপক্ষের ‌‘অনুমতি’ ছাড়াই চলে যায়। রোববার তাদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। ফলে, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করে। পালিয়ে যাওয়া রোগীরা যদি ভারতীয় ভেরিয়েন্টের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করেন চিকিৎসকেরা।

যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ১০জন রোগী ছাড়পত্র না নিয়ে চলে গেছে। তাদের মধ্যে সাতজন ভারতফেরত। ওই সাতজনের মধ্যে খুলনার তিনজন, সাতক্ষীরার দুইজন ও যশোর ও রাজবাড়ি জেলার একজন করে রয়েছেন।

হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই দশজনের নাম-ঠিকানা রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করে ফের তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে যেসব পজিটিভ রোগী ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দশজন ভারতফেরত ছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে চিকিৎসার জন্য তাদের এ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা সবাই পালিয়ে গেছেন।

পালিয়ে যাওয়া রোগীরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার পাঁচপাবাড়িয়া গ্রামের রবিউলের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০), যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার বিশ্বনাথের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ পাড়ার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭), সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার সোনতলা গ্রামের মনতোষ সর্দারের স্ত্রী শেফালী রাণী (৪০), খুলনার পাইকগাছার ভামরাইল গ্রামের আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনার রূপসা চল এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭), খুলনা মহানগরের পূর্বলেন এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরকারের ছেলে বিবেকান্দ সরকার ও রাজবাড়ি সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নাসিমা আক্তার।

তাদের মধ্যে মনিমালা, মিলন হোসেন, শেফালি রানী, আমিরুল সানা, সোহেল সরদার, বিবেকানন্দ সরকার ও নাসিমা আক্তার ভারতফেরত।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, করোনা ওয়ার্ডে নার্স ও চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে নিরাপত্তা কর্মী ছিল না। গেট তালাবদ্ধ করা হয়নি। এজন্য রোগীরা চলে যেতে পেরেছেন। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা নেই। তবে তালাবদ্ধ রাখলে এভাবে চলে যেতে পারতো না। তবে যারা আক্রান্ত তাদেরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *