কড়া লকডাউনে পুঁজিবাজারে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকার।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার। এছাড়া টানা ছয় দিনের মতো সূচকের উত্থানে শেষ হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন। বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলমান লকডাউনে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত না হয়ে শেয়ার বিক্রির চেয়ে, শেয়ার ক্রয় বা বাজার পর্যবেক্ষণে মনোযোগী ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাজার কোটি টাকার লেনদেনে পৌঁছাল পুঁজিবাজার।
লেনদেন গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। একই সঙ্গে সূচকও পৌঁছেছে ৫ হাজার ৪০০ পয়েন্টে। এর আগে গত ২৩ মার্চ সূচক ছিল এ পর্যায়ে। তারপর থেকে মূলত কমতে থাকে সূচকের উত্থান। সে সূচক গত ৪ এপ্রিল নেমে আসে ৫ হাজার পয়েন্টে।
মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে ছিল সূচকের উত্থান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সূচক বাড়ার হার। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২১ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৭ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩৬ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৩টির, কমেছে ৯৮টির। দর পাল্টায়নি ৬৩টির। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৯৭ কোটি টাকা। ফলে এক দিনের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৬০২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৪২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ৭৭টির। দর পাল্টায়নি ৩১টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার।