সৌদি আরবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে এসব হামলা আকাশপথে আটকে দেয় সৌদি জোট। তবে দেশটির ইয়েমেন সীমান্তবর্তী জিজান বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হামলার ফলে আগুন ধরে যায়। বুধবার দেশটিতে এ হামলা হয়।খবর-আরব নিউজের।
বৃহস্পতিবার আল-এখবারিয়া টিভিতে বলা হয়, সৌদি আরবে ছোড়া হুতিদের ৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও চারটি বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন ধ্বংস করে আরব জোট।
সৌদি জোটের মুখপাত্র তুর্কি আল মালকি বলেন, জাজানকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো ইরান সমর্থিত হুতি জঙ্গিদের সৌদি আরবে দীর্ঘ হামলার সর্বশেষ ঘটনা। জাজান বিশ্ববিদ্যালয় হল হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু; যা অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনার মতো। বেসামরিক এলাকাগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সুরক্ষা দিয়ে থাকে।এই হামলা যুদ্ধঅপরাধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার ভোরের দিকে সৌদি আরবের জিজান প্রদেশে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমাবাহী ড্রোন হামলা হয়েছে। সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আটকে দেওয়ার পর ধ্বংস করা হয়। সে সময় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের কিছু ধ্বংসাবশেষ জিজান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে আগুন ধরে যায়।
তবে হামলা এবং অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি। এমনকি তাৎক্ষণিকভাবে কারো আহত হওয়ার তথ্যও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।