ঢাকা, বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
রামপালের সগুনা গ্রামের সংযোগ ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলায় জনগনের ভোগান্তি
Reporter Name

রামপালের সগুনা গ্রামের সংযোগ ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলায় জনগনের সীমাহীন ভোগান্তি সংযোগ ব্রীজ পুণঃ নির্মানের দাবি এলাকার সাধারন মানুষের

মল্লিক জামান, রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের সাধারন মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যাবস্থা না রেখে যাতাযাতের প্রধান মাধ্যম সগুনা  ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলায় সাধারন মানুষ প্রতিদিন চলাচলের জন্য চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছে। ব্রীজ ভাঙ্গার দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও সেখানে বিকল্প কোনো পারাপারের ব্যাবস্থা রাখেনি সংশ্লিষ্টরা। এতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঐ রাস্তাটি দিয়ে অন্তত ৪/৫ টি গ্রামের মানুষ ও যানবাহন নিয়ে চলাচল করত এ পথ দিয়ে। তারাও পড়েছেন চরম বিপত্তিতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রামপালের বাইনতলা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত দাউদখালী নদীর সগুনা অংশে যানবাহন ও জনসাধারন চলাচলের একটিমাত্র সংযোগ ব্রীজ ছিল। নদী খননের কিছুদিন অতিবাহিত হতেই ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপরই একবার মাটির বাঁধ, একবার কাঠের পাটাতন দিয়ে লোক চলাচলের ব্যাবস্থা করা হয়। গত ৬/৭ মাস আগে সেটিও কেটে দেওয়া হয়। ফলে একমাত্র নৌকায় লোকজন পারাপার ছাড়া এই পথে চলাচলের কোনই উপায় নেই।

সূত্রে প্রকাশ, নদী খনন করে সচল করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল এবং এর সাথে সংযুক্ত ৮৩ টি খাল ও নদী খননের কাজ শুরু হয়। ধাপে ধাপে বিভিন্ন নদী খননের একপর্যায়ে দাউদখালী নদী খননের কাজ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত সেখানে খনন কাজ বাস্তবায়ন করছে নৌবাহিনী। দাউদখালী নদীর ফয়লাহাট থেকে চাকশ্রী বাজার পযন্ত খননের কাজ চলছে। ফয়লাহাট থেকে আনুমানিক ২ কিমি পূর্বে বাইনতলা ইউনিয়নের সগুনা-গোবিন্দপুর মৌজায় পারাপারের একমাত্র মাধ্যম কালভার্টটি কাজের শুরুতেই ভাঙা হয়েছিল। পরে স্থানীয়দের অনুরোধে সেখানে মাটির বাঁধ দিয়ে লোকজন চলাচলের ব্যাবস্থা করে খাল খননের দায়িত্বে নিয়োজিত লোকজন।

এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে কখন ও সেই রাস্তা কেটে পানি সরবরাহ করা হয়, আবার বন্ধ করা হয়। সম্প্রতি সেটিকে স্থায়ীভাবে কেটে দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন এই পথ দিয়ে পাশ্ববর্তী গ্রাম সগুনা , কুমলাই, গিলাতলা সহ অন্তত ৪/৫ টি গ্রামের বাসিন্দারা চলাচল করত। এ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে  গ্রামের পেছনের একটিমাত্র ভাঙ্গা ইটের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন লোকজন ও ভ্যান রিক্সা চলতে গিয়ে সেটি ও প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সাথে বাড়তি ঝামেলা হিসাবে যোগ হয়েছে ওই রাস্তার পুরানো এক কালভার্ট। কালভার্টের বেশীরভাগ অংশই ধ্বসে পড়েছে। যে কোন সময় সেটি সম্পূর্ন ভেঙ্গে গিয়ে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন নিত্যযাত্রীরা।

লোকজন এবং যানবাহন চলাচলের ব্যাবস্থা না রেখেই এভাবে অপরিকল্পিতভাবে নদী খননে চরম বিপত্তির মুখে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। নদী পারাপারের ব্যাবস্থা না রেখেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রমে গ্রামবাসীর মাঝে বিস্তর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রতিদিন এখান থেকে হাজার হাজার লোক যাতায়েত করে। এই বাঁধ কাটাতে লোকজন যাতায়েতের কোনো ব্যাবস্থা নেই। ভাঙা নৌকা দিয়ে লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। বেশ কয়েকবার দূর্ঘটনাও ঘটেছে। আমাদের কোনো উপায় নেই। একটা লোক অসুস্থ হয়ে পড়লে কিভাবে হাসপাতালে যাবো তাও জানা নেই। সাধারন মানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ন এই স্থানে কতৃপক্ষের কাছে ব্রীজ করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

x