ঢাকা, শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ!
জুয়েল রানা, সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতাঃ

বিগত কয়েকদিন আগে টানাবর্ষনে কারণে পাঁচপীর-সুন্দরগঞ্জ তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি বেলকা বাজার সংলগ্ন স্থানে ধসে গিয়ে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধসে যাওয়া স্থানটি মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বাঁধটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে প্রতিনিয়ত।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূবাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি। প্রতিদিন ছোটখাটো হাজারও যানবাহন বাঁধটি দিয়ে চলাচল করে। বাঁধটির ডানতীর কামারজানী হতে বামতীর ঘগোয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে অর্ধশতাধিক স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ওইসব বড় গর্ত বসে গিয়ে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এখন মেরামত না করলে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি আসলে তিস্তা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভেঙে গিয়ে কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পরবে। বৃষ্টির কারণে বেলকা বাজার সংলগ্নস্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ধসে গেছে। সে কারণে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রী ও জনসাধারণ।
বাঁধের রাস্তার পাশে বসবাসকারি মোনতাজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে গত বছর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাটি ভরাট করলেও তা তদারকি না করায় বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ জানান, বাঁধটির মধ্যে সৃষ্টগর্ত মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে প্রতিদিন ছোটখাট দূর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি বলেন, এক বছর অতিবাহিত হলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট এখনও সংস্কার করা হয়নি।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ-আল-মারুফ জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাঁধটি সংস্কার ও মেরামতের জন্য বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির ওই অংশ তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আশা করছি অতিদ্রæত ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে মেরামত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x