ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
 আমতলীর গ্রামাঞ্চলে জ্বরের প্রকোপ, পরীক্ষায় অনীহা
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথার প্রকোপ।হাসপাতালের বহির্বিভাগে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনাকালে এসব উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গ্রামাঞ্চলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তবে চিকিৎসকরা এধরনের রোগীদের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলেও দু-একজন পরীক্ষা করে, অন্যরা নমুনা না দিয়েই বাড়ি চলে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: তানভীরুল  ইসলাম   বলেন, হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলেও কিছুতেই মানতে চান না, তারা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এভাবেই জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা করোনা পরীক্ষায় একেবারেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১২০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এ ছাড়া এ উপজেলায় গত ৫ দিনে এ পর্যন্ত  ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের জ্বরে আক্রান্ত রোগী  হলদিয়া ইউপির এমপির হাট এলাকার  মো.রিপন মৃধা   জানান, দুদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন তিনি। ফার্মেসি  থেকে প্যারাসিটামল কিনে  ট্যাবলেট খেয়েছেন। তবু তার জ্বর কমেনি। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এ ছাড়া তাদের এলাকার অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

সোমবার দুপুরে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.ফারজানা দিনা  বলেন, গত কয়েক দিন ধরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। জ্বর হলে অনেকেই নিজের ইচ্ছা মতো ওসুধ  কিনে খায়।  জ্বর  হলে  চিকিৎসক দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। কেননা সিজনাল জ্বর-সর্দি নাকি কারোনার জন্য জ্বর-সর্দি তা চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি ভালো বুঝবেন এবং সেই ভাবে পরামর্শ দেবেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও  পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  ডা: মোনায়েম সাদ  বলেন, জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথার প্রকোপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সিজোনাল কারণে এসব রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। কারো সন্দেহ হলে যে কেউ করোনার পরীক্ষা করতে পারে।

x