জানা গেছে, এক শতাব্দী আগেও অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল এই লেগ্রাড। কিন্তু দেশভাগের পরই শহরের পরিবর্তন ঘটে। প্রথমে গোটা সাম্রাজ্যের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও পরবর্তীতে, নয়া মানচিত্রে ক্রোয়েশিয়ার একদম সীমান্তবর্তী শহরে পরিণত হয় এই লেগ্রাড। সবুজে ঘেরা, চারপাশে অরণ্য, হাঙ্গেরির সীমানাঘেঁষা লেগ্রাডে জনসংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে মাত্র ২ হাজার ২৫০ জনে এসে ঠেকেছে। এরপরই জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে শহরের পুরোনো পরিত্যক্ত বাড়ি বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। দাম রাখা হয় ১ কুনা (০.১৬ মার্কিন ডলার) অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র ১৩ টাকার মতো।
এখনও পর্যন্ত ১৯টি বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল স্থানীয় মিউনিসিপ্যালিটি। এর মধ্যে ১৭টি বাড়ি ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে। আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক ও কলম্বিয়া থেকে অনেকেই এখানে বাড়ি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক নিয়মকানুন রয়েছে, তাই আপাতত বাড়ি বিক্রি করা হচ্ছে কেবল স্থানীয়দের। এছাড়া রয়েছে একাধিক শর্তও। ক্রেতাদের আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে এবং বয়সও হতে হবে ৪০ এর নীচে। কমপক্ষে ১৫ বছর তাদের ঐ শহরে থাকতেই হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যদিও বাড়িগুলোর কোনোটি ভগ্নপ্রায় আবার কোনোটি জানলা-দরজাহীন।
শহরের মেয়র ইভান স্যাবোলিক জানান, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়িগুলো বসবাসের যোগ্য করে তুলতে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। তবে অবশ্যই ওই শর্তগুলো মানতে হবে।
… [Trackback]
[…] Find More Information here to that Topic: doinikdak.com/news/27006 […]