ঢাকা, মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
লৌহজংয়ের প্রধান আঞ্চলিক সড়কের অচল অবস্থা,স্থানীয় প্রশাসন নীরব
মুন্সীগঞ্জ জেলা

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার প্রধান আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা হয়েছে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে চারটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষের। এতে প্রতিনিয়ত লেগে যাচ্ছে যানজট ঘটছে দুর্ঘটনা। উপজেলার মাওয়া-ঘোড়দৌড়-মালিরঅংক-বালিগাঁও হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর পর্যন্ত চলাচলের প্রধান আঞ্চলিক সড়ক এটি। লৌহজং উপজেলারসহ টঙ্গীবাড়ি, শ্রীনগর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার লাখও মানুষ চলাচল করে এ সড়কটি দিয়ে। আর এ গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত আঞ্চলিক সড়কটির ১৫ কিলোমিটার জুড়েই খানাখন্দে ভড়া। গত বছরের শুরুতে এ সড়কের মেরামতের কাজ করলেও তার কয়েক মাস পর আবারও ভেঙে যায় সড়কটি। নিন্মমানের কাজের ফলে সড়কটি দ্রুত ভেঙে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবী দ্রুত সড়কটির সংস্কার করা হলে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবেন এ সড়কের মানুষ।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে সংস্কার কাজ বন্ধ থাকলেও আগামী বছরের শুরুতে এ সড়কের সংস্কার কাজ করার আশ্বাস দেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তবে অঞ্চলের এ প্রধান সড়কটির জনদুভোর্গ কমাতে শুধু আশ্বাস নন দ্রুত বাস্তবায়ন চান স্থানীয়রা।

আবুল, সোবাহান, আফজালসহ কয়েকজন অটোরিকশা চালক জানান, এ সড়ক দিয়ে মাওয়া চৌরাস্তা থেকে বালিগাও পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। মাঝে মাঝে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায়ও যাওয়া হয়। তবে দুঃখের বিষয় এ সড়কটি ভাঙ্গা। সড়ক ভর্তি খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টি হলে এক হাঁটু পানি জমে যায় বিভিন্ন জায়গায়। বৃষ্টিতে পানি জমলে কোথায় কোথায় ভাঙ্গা রয়েছে সেটা বুঝা মুশকিল। যার ফলে আমাদের অটোরিকশা প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। রাসেল আঁকন বলেন, একটু পর পর বড় বড় ভাঙা। হঠাৎ ড্রাইভার এদিক ওদিক মোড় নেয়। আমি এর আগে ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছি।

মালির অংক বাজারের দোকানী প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমাদের দোকানের সামনে যে বড় গর্ত এখানে প্রায় ১০০টির উপরে দুর্ঘটনা হয়েছে। মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, সিএনজি সব ধরনের গাড়িই এক্সিডেন্ট করেছে। আমরা প্রায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাই।

সড়কটির সংস্কারের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মুন্সীগঞ্জ জেলার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান খান জানান, মাওয়া-ফতুল্লা সড়কটির প্রায় ৩০ কিলোমিটার সংস্কার কাজের অনুমোদন আসছে চলতি অর্থবছরে। তবে করোনাকালে এ অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ছোট-বড় কাজ স্থগিত করা হয়েছে। তাই এ সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে এ সড়কের সংস্কারের কাজ ধরা হবে।তিনি আরও

জানান, আমরা কাজের ট্রেন্ডারও দিয়ে ফেলেছি। আগামী অর্থবছরের শুরুতেই কাজ ধরা হবে। আশা করছি এ কাজের পরে ৩/৪ বছরের মধ্যে এই সড়কে কাজের জন্য কোন হাত দিতে হবে না। কেননা বড় বাজেটে উন্নতমানের কাজ করা হবে।

x